কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, কলকাতাতে আমাদের সংগঠন তেমন মজবুত নয়। এই ফল প্রত্যাশিতই। তবে জেলায় আমাদের সংগঠন শক্তিশালী। সেখানে এমন ঘটবে না। অথচ বছরের শুরুতেই খবর মিলল বানারহাট, মালবাজারের পর ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিরও নিজেদের দখলে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং জেলার সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
একবছর আগে এই ধূপগুড়ি ব্লককে ভেঙে বানারহাট ব্লক গঠন করা হয়েছিল। সেখানে বুধবার বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করা হয়। সুতরাং ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিরও বোর্ড গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়। শুক্রবার বর্ষশেষের দিনে বোর্ড গঠন হয়ে গেল। এই বোর্ডের সভাপতি হন অবিভক্ত ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার। আর সহ–সভাপতি হয়েছেন দুলালি ভগত।
এখানের বিন্যাস কেমন? এই অবিভক্ত ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ছিল ৪৮। তার মধ্যে বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ২১ জন। আর নবগঠিত ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ২৭ জন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। আর বাকিরা মিলিয়ে মাত্র দু’জন। একজন বিজেপি।
শুক্রবার বোর্ড গঠনের পর তা আনন্দে মেতে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। এই বিষযে সভাপতি দীনেশ মজুমদার বলেন, ‘আবার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি আনন্দিত। ধূপগুড়ির মানুষের জন্য কাজ করব।’ এই ঘটনায় জেলা বিজেপিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাদের মধ্যে আগামী দিনে বৈঠক হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।