ডায়মন্ড হারবারে জলাশয়ে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্যভেদ করল পুলিশ। পরকীয়ার জেরে ওই তরুণী খুন হয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীকে। এই ঘটনায় গোলাম রব্বানি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে ধৃত জানিয়েছে, লাগাতার ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হয়ে প্রেমিকাকে খুন করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণ গ্রামের একটি জলাশয়ে এক তরুণীর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃতের নাম অহল্যা সরদার। গোলাম রব্বানি নামে পেশায় ল ক্লার্ক এক ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। শেষবার দেখাও গিয়েছিল তাঁরই সঙ্গে। এর পর গোলাম রব্বানিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তাতে ধৃত জানিয়েছে, ৬ বছর ধরে তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে অন্য এক তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। তার পর থেকেই স্ত্রীকে সব কিছু জানিয়ে দেব বলে তাঁকে লাগাতার ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করত প্রেমিকা। তার জেরেই প্রেমিকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে দেহ জলে ফেলে দেন তিনি।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণীর দেহের সঙ্গে একটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। তা থেকেই তাঁকে শনাক্ত করা হয়। সোমবার আদালতে গিয়ে ফের গোলাম রব্বানিকে ভয় দেখাতে শুরু করে সে। তখন তাঁকে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে বারদ্রোণ গ্রামে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে টাকা নিয়ে বিবাদ বাঁধলে প্রেমিকাকে তাঁরও ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন গোলাম।