দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এমনটাই দাবি করলেন তমলুকের সাংসদ। একাংশের দাবি, কলকাতা থেকে কাঁথি ফেরার পথে চণ্ডীপুরের কাছে দিব্যেন্দুর গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি মালবোঝাই লরি। তবে কারও বড়সড় চোট লাগেনি। গাড়ির কয়েকজন আরোহী আহত হয়েছেন। সামান্য চোট পেয়েছেন দিব্যেন্দুও।
শনিবার রাত দশটা নাগাদ ১১৬ বি দিঘা-নন্দকুমার সড়কের উপর উলটোদিক থেকে আসা একটি লরি দিব্যেন্দুর গাাড়িতে ধাক্কা মারে। তার জেরে সাংসদ এবং গাড়ির কয়েকজন আরোহীর হালকা চোট লাগে। তবে দিব্যেন্দুকে হাসপাতালে যেতে হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁর হাতে সামান্য চোট লেগেছে। তবে তমলুকের সাংসদের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্রের দাবি, সাংসদ জানিয়েছেন যে এটা নিছকই দুর্ঘটনা, তাই পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করবেন না তিনি।
বিধানসভা ভোটে আগে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগদান করেন দিব্যেন্দুর দাদা শুভেন্দু। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন সৌমেন্দুও। তারপর কাঁথির অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য সরকারিভাবে তৃণমূলে থাকলেও ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যে ক্রমশ দূরত্ব প্রকট হচ্ছে, তা পরিষ্কার। হাসপাতালের প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন দিব্যেন্দু। সেই তালিকায় আছে হলদিয়া ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, তমলুক, কোলাঘাটের এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লুকের দুটি করে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বিভিন্ন হাসপাতালে সরকার মনোনীত যে পদগুলি আছে, সেগুলিও ছেড়ে দেন দিব্যেন্দু। তবে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি।