বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তে হিন্দু সন্ন্যাসীদের অবস্থান মঞ্চে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, যখন কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছিল তখন মন্তব্য করার সময় প্রধানমন্ত্রীর কথা মনে পড়েনি কেন?
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা আক্রান্ত হবেন আসুন, আমি তাদের আশ্রয় দেব। তখন প্রধানমন্ত্রীর কথা, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা তাঁর মনে ছিল না। এখন যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে। ওনার দলের হিন্দু সমর্থকদের মধ্যেও ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে বলছেন। দায়িত্বটা ওনাকেও নিতে হবে। একই অঙ্গে বিভিন্ন রূপ না দেখিয়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করুক।’
তাঁর দাবি, ‘বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠানোর কথা তো আমিই প্রথম বলেছিলাম। বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করা উচিত। এতে সমস্যার কী আছে?’
ওদিকে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি থাকে না। তা সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন তাঁর মুসলিম তোষণের নীতির ফলে তাঁর দলেরই বহু হিন্দু নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাই এই সব বলে তাদের ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।’