শীতের সৈকতনগরী দিঘায় ঘটে গেল ভয়াবহ চুরির ঘটনা। পুরনো জগন্নাথ মন্দিরে প্রণামীর বাক্স ভেঙে সমস্ত টাকা–কড়ি চুরি করে নিয়ে গেল চোরেরা। এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়। অন্ততপক্ষে দু’জন লাগবে। তা থেকে অনুমান করছে পুলিশ এই কাজের নেপথ্যে একের বেশি চোর ছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল। ওল্ড দিঘার পুরনো জগন্নাথ মন্দির নির্মীয়মাণ জগন্নাথধামের মাসির বাড়ি হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এই মন্দিরে প্রণামী বাক্স ভেঙে চুরির ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যা এখন চর্চিত বিষয়।
এই ঘটনা ঘটেছে দিঘা থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সেখানেই এই মন্দির অবস্থিত। অথচ সেখানে এমন চুরির ঘটনায় বাসিন্দাদের অনেকেই হতবাক। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝরাতে একজন বা দু’জন যুবক মন্দিরের গ্রিলের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। আর সেখানে থাকা প্রণামী বাক্সের তালা ভেঙে সমস্ত টাকা–কড়ি মিলিয়ে বড় অঙ্ক নিয়ে চম্পট দেয়। প্রণামী বাক্সে এখন একটিও টাকাপয়সা নেই। এই মন্দিরে আসা ভক্তরা চুরির বিষয়টি প্রথম দেখতে পান। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। তখন চুরির গোটা ছবিটাই ধরা পড়ে যায়। দিঘা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নতুন করে পর্যালোচনা করতে হবে, নির্দেশিকা জারি মনোজ ভার্মার
এখন দিঘায় নতুন করে জগন্নায় মন্দির তৈরি হচ্ছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধাঁচে ওই মন্দির গড়ে উঠছে। যা দেখে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সেটির উদ্বোধন হবে। এই বিষয়ে জগন্নাথ মন্দির কমিটির সভাপতি সুশীল প্রধান বলেন, ‘প্রণামী বাক্স ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুরনো জগন্নাথ মন্দির এখন মাসির বাড়ি হিসেবেই পরিচিত হতে শুরু করেছে। জগন্নাথধামের মতোই অংশ হতে চলেছে এই মন্দির। এখানে বহু পর্যটক এসে থাকেন। তাই আগামী দিনে এই মন্দিরে সমস্ত সামগ্রী রক্ষার নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।’
এখন দিঘাকে ঢেলে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু করে জগন্নাথ মন্দির একসঙ্গে তুলে ধরে পর্যটনস্থল আরও আকর্ষণীয় করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে যাঁরা পুরী যেতে পারবেন না তাঁরা দিঘায় এসে একইরকম অনুভূতি পাবেন। সেখানে এমন চুরির ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং হোটেল কর্মীদের মধ্যে। এই চুরির ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এক হোটেলের কর্মী কনিষ্ক দোলুইয়ের বক্তব্য, ‘পুলিসের কাছে মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করতে বলেছেন বাসিন্দারা। এখানে সর্বক্ষণের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।’