আর একটা দিন। তারপরই নভেম্বর মাস শেষ। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। যে মাসে পর্যটকরা বেশি সফর করেন। পাহাড় কিংবা সমুদ্র বেশিরভাগ পর্যটকদের গন্তব্য। তবে নিরিবিলি স্থানে প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতেও বহু পর্যটক পছন্দ করেন। তবে এবার ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের সময় পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে দিঘায় বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রত্যেকবারই সেটা দেখা যায়। এই আবহে দিঘায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়ছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। নবান্ন থেকেও দিঘার পরিস্থিতির উপরে এবার থেকে নজর রাখা সম্ভব বলে জানান দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
ডিসেম্বর মাস থেকে যে মরশুম শুরু হচ্ছে তাতে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। এটা আরও বোঝা যাচ্ছে হোটেল বুকিংয়ের তথ্য থেকে। প্রত্যেকটি হোটেল ইতিমধ্যেই পর্যটকদের বুকিংয়ে ঠাসা। ডিসেম্বর মাসের ওই বিশেষ দিনগুলিতে এসে হোটেল পাওয়া কার্যত দুষ্কর। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত দিঘার বেশিরভাগ হোটেল বুক করা আছে। তাই বড়দিনের প্রাক্কালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হচ্ছে। সমুদ্রসৈকত–সহ গোটা শহর সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সমুদ্রস্নানের সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে দিঘা ও মন্দারমণিতে ৭টি স্পিড বোট নামানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নিয়ন্ত্রণে কলকাতা মেট্রোর বিশেষ ফ্লেক্স, প্রত্যেক স্টেশনে থাকছে সচেতনতার বার্তা
এই সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারি চালাবে দিঘার সমুদ্রসৈকত, রাস্তা, পার্ক–সহ নানা বিনোদনমূলক জায়গায়। এআনে আগে ৬৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কিন্তু পর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগের দাপটে সেই ক্যামেরার বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়। যে এজেন্সিকে দেখভালের দায়িত্বে ছিল, তারা সঠিকভাবে কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই এজেন্সিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের দিয়ে ৬৫টি ক্যামেরা সব জায়গায় লাগানো হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারের মাথাতেও বসেছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
পর্যটকদের কোনওরকম যাতে ক্ষতি না হয় তাই এই বাড়তি নজরদারি। এই বিষয়ে কাঁথির মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ৬৫টি সিসি ক্যামেরায় দিঘাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে।’ লাইভ ফিড দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। দিঘা কোস্টাল থানা ও পুলিশ সুপারের অফিসে ক্যামেরা–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই সিসিটিভি ক্যামেরার সঙ্গে নবান্নে যে নতুন কন্ট্রোল রুম হয়েছে সেখানেরও যোগ থাকছে। যাতে সমস্ত তথ্য সামনে আসে। আর বিপদ থেকে মুক্ত করা যায় পর্যটকদের।