স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে দিঘার হোটেলে আত্মঘাতী গৃহবধূ। সোমবার সন্ধ্যায় নিউ দিঘার একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা।
মৃত বধূর নাম দীপাঞ্জলি রায়। স্বামী সুভাষের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। দম্পতির একটি ছেলে রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দম্পতির মধ্যে ব্যাপক বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান সুভাষবাবু। ঘরে একাই ছিলেন দীপাঞ্জলি দেবী। কিছুক্ষণ পর হোটেলের ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন স্ত্রী।
স্ত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে হোটেলের কর্মীদের ডাকেন সুভাষবাবু। সঙ্গে সঙ্গে দীপাঞ্জলি দেবীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে বধূকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর খবর যায় দিঘা কোস্টাল থানায়। সেখান থেকে পুলিশ কর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান।
ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করা ৮৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে দেশে ফেরাল বিএসএফ
এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সুভাষ রায়ের বিরুদ্ধে বধূনির্যাতন বা আত্মহত্যায় প্ররোচনার কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে কী কারণে দাপাঞ্জলি দেবী আত্মঘাতী হলেন তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে।
নিহতের স্বামী জানিয়েছেন, ওর সঙ্গে মাঝেমাঝেই মনোমালিন্য হয়। সেটা অনেক দম্পতির মধ্যেই হয়ে থাকে। সেজন্য আত্মহত্যা করবে, এটা ভাবতে পারিনি। তাহলে ওকে একা রেখে যেতাম না।