সোনালী রোদ্দুরের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এই পরিবেশে সমুদ্রসৈকতে স্নান করার আনন্দই অন্যরকম। তাই আজ, শনিবার সকালেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় দিঘার সৈকতে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যে ধেয়ে আসছে! এই কথা শোনার পর এক পর্যটক বললেন, ‘দূর মশাই, ছাড়ুন তো ঝড়ের কথা! যখন আসবে তখন দেখা যাবে!’ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানে দিঘা রয়েছে নিজস্ব মেজাজেই।
ঠিক কী বলছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক? আজ, শনিবার সকালেও একদল পর্যটককে দেখা গেল সমুদ্রে নেমে স্নান করতে৷ এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করা চলছে। আর এনডিআরএফ–এর দল গঠন করে উপকূল এলাকার মানুষজন ও মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় এনডিআরঅফ তিনটি টিম থাকবে—দিঘা, মন্দারমনি ও হলদিয়াতে। এসডিআরএফের আরও দুটি টিম রাখা হচ্ছে দেশপ্রাণ ব্লক পেটুয়াঘাট এবং নন্দীগ্রামে৷’
আর কী জানা যাচ্ছে? আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগ দেখা দেবে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ঘূর্ণিঝড় সামলানোর আগাম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের ৯টি ব্লক এলাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী? এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘আমরা আগে ফনি, আমফান, ইয়াসের মতো বড় ঝড় সামাল দিয়েছি। আমরা সর্বতোভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আর অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকা থেকে মানুষ সরানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি৷ প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে। আগামী ২৩ তারিখ থেকে অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার লোক সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সংখ্যা আনুমানিক দেড় লক্ষ৷’ তবে দিঘার সমুদ্রসৈকতে মেতে রয়েছেন পর্যটকরা।