নন্দীগ্রামে গণনায় কারচুপির অভিযোগে আদালতে করা মামলা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষের সুরেই শুক্রবার দিলীপ জানান, আদালতে উনি যেতেই পারেন। তবে উনি হেরে গিয়েছেন এটা ঠিক। তাই আবার অন্য জায়গায় দাঁড়াবেন, সেটাও ঠিক করে নিয়েছেন।
এদিন হাই কোর্টে শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী ২৪ জুন হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে নন্দীগ্রাম মামলা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী আদালতে যেতেই পারেন। আমরাও অনেক বিষয় নিয়ে যাচ্ছি। অনেক জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। কাউন্টিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। উনিও ন্যায় অধিকার চাইতে যেতেই পারেন।’ একইসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ‘উনি হেরেছেন, এটা ঠিক। এখন আবার অন্য জায়গায় দাঁড়ানোর বিষয়টিও ঠিক করে নিয়েছেন। কারণ, উনি জানেন, যেটা হয়েছে, ঠিকই হয়েছে। কাউন্টিংয়ের আবেদন করেছেন? আগে হয়নি।’
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, ভোট গণনায় ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তাঁকে হারানো হয়েছে। ফল ঘোষণার পর এবিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতোই এবার হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিন অবশ্য অন্য বিষয় নিয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, সমস্যা সমাধানের ইচ্ছে নেই সরকারের। খালি রাজনীতি করছে। ঝড়ে যাদের ঘরবাড়ি গেছে, তাঁদের এখনও পর্যন্ত ত্রিপল অবধি দিতে পারেনি সরকার। ভ্যাকসিন আসছে, কিন্তু সরকার ঠিক মতো দিতে পারছে না। সরকার যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা তো করুক। একইসঙ্গে কলকাতার রাস্তায় জল জমে থাকা নিয়েও কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকেও ঠুকেছেন দিলীপ। তিনি জানান, ‘ববি এক বছরের সময় চেয়েছেন। যারা ১০ বছরে কিছু করতে পারলেন না, তাঁরা ১ বছরে কী করবেন। এখন আগেকার সেচ মন্ত্রীর দোষ ধরছেন। অথচ ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁদের সব সুবিধা ছিল, তখন কিছুই করতে পারেননি। দোষটা তাহলে কার?’