ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীদের আক্রান্তের প্রতিবাদে এবার বুদ্ধিজীবীদের পথে নামার আহ্বান জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ।বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘এবার বুদ্ধিজীবীরা পথে নামুন। কেউ শিল্পী হতে পারেন, কেউ বুদ্ধিজীবী হতে পারেন। সবাই এগিয়ে আসুন।যাঁরা কথায় কথায় ছবি এঁকে প্রতিবাদ করেন, তাঁদেরও বলছি এগিয়ে আসুন। মানুষের বাঁচার অধিকার রক্ষা করুন।’
রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই অত্যাচারের কথা পুলিশকে ভয়ে জানাতে পারছেন না। এমন অনেক জায়গাই আছে যেখানে পুলিশ এফআইআর নিচ্ছে না। বিজেপি কর্মীদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না।শুধু তাই নয়, টিউবও্য়েল চেন দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে বাম শাসনের অবসান ঘটাতে রাজ্যে যখন পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তাঁর সমর্থনে বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ পথে নেমেছিলেন। এবারের বিধানসভা ভোটে আগে সেই বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য বিজেপি শত চেষ্টা করেন বুদ্ধিজীবীদের সেই অর্থে কাছে টানতে পারেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে রাজ্যের কয়েকজন বিদ্বজ্জন, শিল্পীদের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভোটের সময় তো বটেই বরাবরই সমাজের বিশিষ্টজনেদের কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।এবার তাঁরই মুখে বুদ্ধিজীবীদের পথে নামার আহ্বান তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে রাজ্যের কৃষকরা কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা পেতে শুরু করেছেন।সেই প্রসঙ্গ টেনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি জানান, ‘এতদিন এই প্রকল্প থেকে রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত ছিলেন।এই বঞ্চিত থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী।’