রাজ্যে ডিপ্লোমা চিকিৎসক তৈরির পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এরপরই চিকিৎসকদের একাংশের মধ্য়ে এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কীভাবে এটা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
তবে এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরে চা চক্রে বেরিয়ে তিনি এই ইস্যুতে মমতাকে কার্যত তুলোধোনা করেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, সিভিক পুলিশকে পুলিশ করে দেবে কোন আইনে আছে? কোর্টে কেস হবে আবার সব আটকে যাবে। সব বেআইনিভাবে করছেন বলে এরকম ডামাডোল তৈরি হচ্ছে। যারা পরীক্ষা দিয়ে বসে আছেন , নিয়োগপত্র নিয়ে তারা মিছিল করছেন। পুলিশ, ডাক্তার নেই, এভাবে সরকার চলতে পারে না। তিনি বলেন, মানসিক অবস্থা ঠিক নেই ওনার। তিনি বলছেন সাত দিনে নাকি নার্স তৈরি করা যায়। এক দু বছরে ডাক্তার তৈরি করা যায়। লোকে এক দু লক্ষ টাকা খরচ করে ইউক্রেন, রাশিয়া পোল্যান্ডে পড়তে যাচ্ছেন কেন? মমতার স্কুলে ভর্তি হয়ে যান। যারা ফিরে এসেছিলেন ওখান থেকে, তাদের বলেছিলেন সব জায়গায় ভর্তি করে দেবেন। কতজনের কমপ্লিট হয়েছে। তার হিসাব দিন। কেবল মিথ্যা কথা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্য়দিকে বাংলায় কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সরকার যখন ভয় পায়, সত্যকে স্বীকার করতে চাননা, তখন এসব হয়। তার পার্টির শিল্পী কলাকুশলীরাও সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। এটা বেআইনি হয়েছে। যারা ওনার সঙ্গে মঞ্চ আলো করে থাকেন তারা কেন বলছেন না। তারা এঁটোকাটা খেয়ে বেঁচে আছেন। একজন বাঙালি পরিচালক কেরলে গিয়ে ফিল্ম তৈরি করছেন। এটা ভাবতে হবে। তাঁকে ভোট দিয়ে মানুষ এনেছিলেন সিনেমা বন্ধ করার জন্য।
অন্যদিকে তিনি বলেন, টিএমসির অনেকেই বিজেপির দিকে চলে আসছেন। আর দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, দম থাকলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন করুন। বিধানসভার আগেও আওয়াজ দিয়েছিলেন। লোকসভার আগেও আওয়াজ দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই হয়নি।