বিশ্বকর্মা বাংলা থেকে পালিয়েছে, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের বগদা থেকে শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে এভাবেই নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন খড়গপুর শহরের বগদা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমন্দির ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালানোর পাশাপাশি চায় পে চর্চায় যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন, ‘এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো সবচেয়ে বেশি হতাশা জনক এবং ম্যাড়ম্যাড়ে হচ্ছে। শিল্প নেই, আর বিশ্বকর্মা পুজোয় টাকা আসতো সিন্ডিকেট ও কাটমানির টাকা থেকে। সেই টাকাও নেই। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুস চলে গেছে। শিল্প নেই চাকরি নেই তাই বিশ্বকর্মা পূজা করবে কে? বিশ্বকর্মা বাংলা থেকে পালিয়েছে, বিশ্বকর্মা দেবের পুজো কাজের মাধ্যমে হোক।সাধারণ মানুষ যখন আনন্দে পুজো দিবেন তখন বিশ্বকর্মা আসবেন’।
২০১৪-র প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের ডাক পেল ১৮৭ জন, হাইকোর্টের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি
তাঁর দাবি, ‘পাশাপাশি একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন তিনি, অন্যদিকে হুগলিতে শতাধিক যুবক যুবতীদের চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন সমস্ত কিছুই ভুয়ো’।
রাজ্যে শিল্পের ছবি নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, ১১ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে কোনও বড় শিল্প আনতে পারেনি। যার যেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। এজন্য রাজ্য সরকারের ভুল জমিনীতিতে দায়ী করছেন অনেকে। অনেকের দাবি, শাসকদল তৃণমূলের বেলাগাম দূর্নীতি ও কাটমানির ভয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না শিল্পপতিরা। যার ফলে একের পর এক শিল্প সম্মেলন করেও লাভ হয়নি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না হওয়ায় কাজের খোঁজে রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন যুবক যুবতীরা। ওদিকে চপ ভেজে, ঘুগনি বিক্রি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অভিযোগই আরেকবার শোনা গেল দিলীপবাবুর মুখে।