ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অভিপ্সা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে হাওড়ার গুলমোহর ময়দানে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেন। পালটা মন্তব্য করেছে তৃণমূলও।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সত্যিই উন্নয়ন করতে চাইলে টাকা চাইতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকগুলোয় যোগ দিতেন। সেখানে নিজের দাবিদাওয়া জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি চিঠি দিচ্ছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তিনি কত উন্নয়ন করতে চান।’ এর পরই আক্রমণের তেজ বাড়িয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘আসলে দিল্লির বৈঠকে গেলে হিসাব দিতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠিয়েছে তা ঠিকমতো খরচ হয়েছে কি না তার খতিয়ান তুলে ধরতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রের পাঠানো অধিকাংশ টাকাই পুরোটা খরচ করতে পারে না রাজ্য। তাই দিল্লির বৈঠকে যোগ দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী।’
দিলীপবাবুকে পালটা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘সরকারের দাবিদাওয়া লিখিতভাবে জানানোই নিয়ম। নইলে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত পেতে তাঁর দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা মানায় না কি?’
বলে রাখি, ক্ষমতায় আসার পর থেকে লাগাতার কেন্দ্রের বৈঠক বয়কট করেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। নানা কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সরকারের প্রতিনিধি পাঠাতেও নারাজ তিনি। সম্প্রতি দিল্লিতে NPR সংক্রান্ত বৈঠকে দেশের সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিরা হাজির থাকলেও ছিল না শুধু পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি।