তৃণমূল মারলে পালটা মারের নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সিউড়িতে এক সভায় একথা বলেন তিনি। সঙ্গে বলেন, ‘মার খাওয়ার জন্য জন্মাননি বিজেপি কর্মীরা।’
বুধবার সিউড়িতে ছিল বিজেপির জনসভা। তাতে প্রধান বক্তা ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সভায় আসার পথে নানুরে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। হয় বোমাবাজি। তাদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি বিজেপির। সেই খবর সভামঞ্চে পৌঁছলে দিলীপবাবু বলেন, ‘আজকে বোলপুরে যেখানে আমাদের কর্মীদের মার দেওয়া হয়েছে। আগামী সভায় আমরা ওখানেই করব ৫০,০০০ লোক নিয়ে। আমরা এর আগে মিটিং করেছি, সিউড়িতে বড় বড় মিছিল করেছি। তখনও গাড়ি আটকানো হত। গাড়ি ভাঙা হত। কর্মীদের মারা হত। সারা জেলা জুড়ে হত। আজকে কেবল এক জায়গায় হয়েছে। আর সেখানেও আমাদের কর্মীরা তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন’।
দিলীপ ঘোষের নিদান, ‘খালি হাতে বেরোবেন না বাড়ি থেকে। বাঁশ কেটে নিয়ে আসবেন। বিজেপির কর্মীরা মার খাওয়ার জন্য জন্মায়নি। যারা হাত তুলবে ওইটা যেন শেষ হাত তোলা হয়। তার পর ওই হাত দিয়ে ভাত খেতে পারবে না। এরকম করবেন’।
পালটা দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘দিলীপবাবু সকালে ব্যায়াম করেন বলে বোধ হয় মনে করছেন বাহুবলী দল তৈরি করবেন। রাজনৈতিক নেতা হতে গেলে তো বাহুবলী হতে হয় না। দুটো পার্ট দেখেছেন মনে হয় বাহুবলীর। ক্রমান্বয়ে ওরা এরকম মন্তব্য করছেন’।
সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে তাঁর পরামর্শ, ‘আমি দিলীপবাবুকে বলব মাথা ঠান্ডা রাখুন। এখানে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। বাংলার মানুষের জন্য কোনও বার্তা তাঁদের নেই। শুধু ক্ষমতা দখলের বার্তা’।
বলে রাখি, এর আগেও নানা সভায় সমর্থকদের নানা প্ররোচনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপবাবু। তবে তাতে কখনো ভুল স্বীকার করেননি তিনি। রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, মাঠে ঘাটে রাজনীতি করি বলে মানুষ যা শুনতে চায় তাই আমি তাই বলি।