ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নিজের দলকেই বিড়ম্বনাতে ফেললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি। বিজেপির ১৩ সেপ্টেম্বরের ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচির প্রচারে রবিবার মেদিনীপুরে মিছিলে হাঁটেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপর সভায় তিনি বলেন, ‘বাংলার সব তাবড় মন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন।’
রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ‘দিদি বুঝতে পেরেছেন, ইডি যদি এসে ধরে, তা হলে কে বাঁচাবে? তাই দিল্লি গিয়েছিলেন, ওই দাড়িওয়ালা লোকটার কাছে! বাঁচাও সাধুবাবা, বাঁচাও সাধুবাবা বলেছেন। তবে সাধুবাবা বলছেন, না, আর বাঁচাতে পারব না। এটা আমার হাতের বাইরে। আমার এত টাকা ঝেড়েছো। আমি আর বাঁচাতে পারব না। ঝেড়ে ফাঁক করে দিয়েছ।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, এই মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাই বলছেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ‘সেটিং’ তত্ত্ব নিয়ে সরব হয়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস। এই আবহে দিলীপের বক্তব্যে বিজেপি বিব্রত হবে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে ‘দাঁড়িওয়ালা সাধুওয়ালা’ বলে সম্বোধন করা হে, তাও বেশ বিব্রতকর বিষয়।
দিলীপ আরও বলেন, ‘কষ্ট সবে শুরু। আপনার ভাইরা যেভাবে ধীরে ধীরে জেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আপনার গতিও সেরকমই হবে! লালুপ্রসাদ মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন, রেলমন্ত্রীও ছিলেন। দিদিমণিরও দু’টো ডিগ্রি ছিল। শেষ কোথায়? দমদম সেন্ট্রাল জেল অপেক্ষা করছে দিদিমনির জন্য। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য। দিদিমণি যাঁর যাঁর নাম বলেছেন, সেই ক’টাকে কিন্তু তুলবেই। সবাইকে নিয়ে জেলে যেতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকও ওখানে হবে। আগে কালীঘাটটা সামলান।’