মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে নদী ভাঙন নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নদী ভাঙন রুখতে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা লুঠ করা হচ্ছে বলে সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তাঁর দাবি, নদী ভাঙন নিয়ে প্রশাসনের কোনও নজরদারি নেই। গতকাল মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে এভাবেই রাজ্যের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ।
মুর্শিদাবাদের সমরেশগঞ্জের নদী বাঁধ পরিদর্শন করে সেগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখেন দিলীপ ঘোষ। এরপরেই দিলীপ ঘোষ নদী বাঁধ মেরামত বা নদী ভাঙন রোধে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা ঠিকভাবে খরচ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সুন্দরবনে গিয়ে দেখেছিলাম সেখানে নদী বাঁধ ভাঙছে। এখানেও দেখছি একই অবস্থা। শিবপুর, ধানগড়, শেখপুরে নদী বাঁধে ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে।’ তাঁর বক্তব্য, নদীর ভাঙন রোধে ঠিকমতো কাজ করা হচ্ছে না। তিনি জানান, ‘কেন্দ্র সরকার নদী ভাঙন রোধে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ নদী পারে শুধু বালি ফেলা হচ্ছে আর সেই বালি নদীর জলে ধুয়ে যাচ্ছে। যদি পাথর বা বোল্ডার দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হতো তাহলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হত। আমার দেখার ইচ্ছে ছিল। তা দেখে গেলাম। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে কিন্তু, প্রশাসন যেভাবে খরচ করছে তাতে কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্থানীয় কিছু মানুষ টাকা লুঠ করছে। প্রশাসন তা দেখছে না।’ তিনি বলেন, ‘এটা একটা লুঠের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝড় আসলে যেমন আয় হয়, তেমনি নদীর বাঁধ ভাঙলেও আয় হয়। কেউ স্থায়ী সমাধান চাইছেন না।’এরপর নিমতিতা বিএসএস কেন্দ্রে ক্যাম্পে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
যদিও এ নিয়ে উত্তর দিতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মন্ডলের বক্তব্য, ‘আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। দিলীপ ঘোষ রাজ্য থেকে বিতাড়িত। যা বলার উচ্চ নেতৃত্ব বলবে। তবে এটুকু বলতে পারি ওনার এখানে কথা বলার কোনও এক্তিয়ার নেই। ওনার দলই ওনাকে নিষেধ করেছে।’