পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন বিজেপির নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারাও এমন অল্প–বিস্তর বলছেন। নানা কথা শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা–কর্মীদের মুখে। এবার এই ট্রেন্ডিংয়ে শিরোনামে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে বাঁশপেটা করার নিদান শোনা গেল। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। এমনকী তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক এবং আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাংলার মাটিতে।
এদিকে গতকাল বাঁকুড়াতে বেলাগাম ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাঁকুড়া শহরে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘আমরা সমাজের সঙ্গে আছি। যারা পিছনে লাগবে আজ হোক বা কাল হয় ভগবান না হলে সিবিআই নিয়ে যাবে। বাঁচার কোন রাস্তা নেই। একটা সময় জঙ্গলমহলের মানুষ বাঘ, হাতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ছিল। এখন তার চেয়েও ভয়ঙ্কর তৃণমূল কংগ্রেস।’ এমনকী অমর্ত্য সেনের জমি ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আর বুকে পা তুলে দেওয়ার নিদান আগেই দিয়েছিলেন তিনি। এবার বাঁশপেটা।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দিলীপ ঘোষের মুখে আবার বাঁশপেটা করার হুমকি। আর তাতেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। বাঁকুড়ায় একটি সভায় বক্তব্য রাখার সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভোট লুঠের চেষ্টা করলে ভাল করে ট্রিটমেন্ট করবেন। যেন হাসপাতাল হয়ে বাড়ি যায়। হাসপাতালের ট্রিটমেন্টের আগে আপনারা ট্রিটমেন্ট করবেন। গরিব মানুষকে ধোকা দিয়ে ভোট লুঠ করতে দেব না। বুথে ফালতু লোক ঢুকে ভোট লুঠের চেষ্টা করলে তাহলে ভাল করে ট্রিটমেন্ট করে দেবেন।’
আর কী জানা যাচ্ছে? শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার নিকুঞ্জপুরে বিজেপির ধিক্কার সভা থেকে এমন ভাষাতেই দলের কর্মীদের নিদান দিলেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘হাসপাতালের আগে আপনারা তার ট্রিটমেন্ট করবেন। আর তার জন্য কাঁচা বাঁশের ডাং (লাঠি) লাগবে। যেন সেই ডাঙে গাঁট থাকে। লাগলে যেন ভিতরে লাগে। যা হয়ে গিয়েছে তা হয়ে গিয়েছে। পরিশ্রম করে সংগঠন করেছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। আর ভোটের দিন কেউ ভোট লুঠ করবে তা সহ্য করব না।’ এমন মন্তব্য থেকেই মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।