শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি পদপ্রাপ্তির পর মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রায় ১ বছর অপেক্ষার পর দলে পদ পেলেও শোভন খুশি নন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এর পর দিলীপের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে বিজেপির রাজ্য কার্যকারিনীর সদস্যদের তালিকা। তাতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্যের পদ দেওয়া হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে। এব্যাপারে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, দলের সমস্ত বিধায়কই কার্যকারিনীতে জায়গা পেয়েছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায় একজন বিধায়ক। তাই তাঁকেও জায়গা দেওয়া হয়েছে।
ওদিকে পদপ্রাপ্তির পরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আলোচনা না করেই ঘোষণা করা হয়েছে। আমাকে দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। আমি জেনেছি সংবাদমাধ্যম থেকে।
বুধবার এই নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘শোভনদা কাজের মানুষ। উনি কাজের মধ্যে থাকুন। তাঁর অভিজ্ঞতা পার্টি কাজে লাগাতে চায়। ততে পার্টির লাভ হবে। তাই আমরা ওকে কার্যকারিণীর সদস্য করেছি। উনি যেমন কাজ করতে চাইবেন, পার্টির তরফে সেই কাজই করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।’
বলে রাখি, গত বছর ১৪ অগাস্ট টানটান নাটকের পর বিজেপিতে যোগদান করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই বিজেপিতে যোগদান করতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তা নিয়ে বিজেপির সদর দফতরের মধ্যেই একপ্রস্ত দড়ি টানাটানি হয়।
বিজেপিতে যোগদানের পর ভাল নেই বিজেপি বা শোভন কেউই। বছর ঘুরলেও শোভনকে বিজেপিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। উলটে বারবার তাঁর তৃণমূলে ফেরার খবর ছড়িয়েছে। শোভনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন সুরক্ষিত করার বিনিময়ে বিজেপিতে সক্রিয় হতে চান তিনি। যা মানতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের সাফ কথা, ‘আমাদের শোভন চাই, বৈশাখি নয়।’