বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলছেন বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা। উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন জন বারলা, সেই দাবিকে পরপর সমর্থন জানাচ্ছেন উত্তরের বাকি বিধায়করাও। আর এই নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য ভাগে সায় নেই বলে দাবি করলেও জনপ্রতিনিধিদের চুপ করাতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সেখানকার 'কষ্ট' বোঝার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
২ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এদিন দিলীপবাবুর বলেন, 'উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন হয়নি, তাই হয়তো আলাদা হতে চাইছেন তাঁরা।' তিনি বলেন, 'উত্তরবঙ্গের মানুষ বরাবরই পিছিয়ে থেকেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট কিছুই হয় না এখানে, সেই কারণেই হয়তো আলাদা কিছু ভাবনা।'
পাশাপাশি কোচবিহারে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও গোর্খা কখনও কামতাপুরীদের সঙ্গে জোট গড়ে জেতার চেষ্টা করছেন। তবে উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপির সঙ্গে ছিল, রয়েছে।'
এদিকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জেলা সভাপতি সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তারপর জেলাজুড়ে চলছে বিজেপিতে ভাঙন। ঠিক সেই সময়ে দলের জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার আলিপুরদুয়ারেও যান দিলীপবাবু। সেখানে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির স্পষ্ট বক্তব্য, 'বিজেপি দলে কোনও ভাঙন হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি চলে গেলেও দলের কিছু যায় আসে না।' সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, দলের কার্যকর্তারা কেউ তৃণমূলে যাননি। দুই-চারজনকে লোভ আর ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।