সিএএ নিয়ে মতুয়াদের একটা বড় অংশ তাকিয়ে বিজেপির দিকে। এদিকে এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিয়ম তৈরি করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। যা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে মতুয়াদের মধ্যে। তবে এরই মাঝে বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের বড় একটা অংশ বিজেপির সঙ্গেই ছিল। এই আবহে সিএএ নিয়ে মতুয়াদের প্রত্যাশার চাপ কমাতে মতুয়া সমাজের মুখ হিসেবে শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হয়েছে। এই আবহে সিএএ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, 'যদি মতুয়াদের কথা ভেবে শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করা হয়ে থাকে, তাতে ক্ষতির কী আছে? মতুয়ারা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছে। তাদের সম্মান দেব, সুরক্ষাও দেব, নাগরিকত্বও দেব। মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তাড়াতাড়ি সিএএ লাগু হয়ে যাবে। আর তা হলে লকডাউন কাটলে সময় নিয়ে জারি হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক সময়ে সিএএ আইন লাগু করবে।'
এরপর মতুয়া অস্ত্রে শান দিয়ে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেন, 'তৃণমূল মতুয়াদের জন্য কী করেছে ? যদি মতুয়াদের খুশি করা হয়, তাতে অসুবিধে কোথায় ? মতুয়ারা শুধু বঞ্চিত হয়েছে বাম ও তৃণমূল সরকারের আমলে।'
এদিকে অশোকনগরে এদিন দলের বেসুরোদেরও বার্তা দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'অন্য গাছের ছাল লাগিয়েছিলাম। সেই ছাল এখন খুলে পড়ছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই চায় ঘর গোছাতে। সেই ভেবে আমরাও অনেককে দলে নিয়েছিলাম। সুযোগও দিয়েছিলাম। এবার তারা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার। যারা এসেছিলেন তারা কল্পনা করেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে৷ সেটা না হওয়ায় কষ্ট হচ্ছে তাদের। আমাদের কর্মীরা লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছে।'
রাজীব, সব্যসাচীদের মতো বেসুরো নেতাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ দেনে দল? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই নিয়ে দলের মধ্যে চিন্তাভাবনা চলছে। যারা দলের পলিসি মেকার, তাঁরা নিশ্চয় বিষয়টি ভাববেন। আমার একার সিদ্ধান্তে দল চলে না। দল পরিচালিত হয় সার্বজনীনভাবে।'