নিজের লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর সফরের দ্বিতীয় দিনটা ফুটবল দিয়ে শুরু করলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন তিনি। তার পর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে খেললেন ফুটবল। সাধারণ মানুষের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথাও বলেন সাংসদ। শহরের রাস্তার পাশে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন সেন্টার পরিদর্শন করেন তিনি। তার পর চায় পে চর্চায়
সোমবার ভোরে মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে এসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটবল নিয়ে খেলেন। পরে মাঠে হাঁটতে আসা লোকজনের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের কাজের সমালোচনা করেন।
তারপর মাঠের পাশে পঞ্চুরচক এলাকায় একটি চা দোকানে চায় পে চর্চা আসরে বসে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। স্থানীয়দের সঙ্গে গল্পগুজব সেরে ফের রিং রোড হয়ে হেঁটে কেরানিতলা এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন। কথা বলেন লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের সঙ্গে।
এদিন দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, ‘রাজ্যটা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে। অকালি দলের উগ্রপন্থীরা এখনে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। অসম, মণিপুরের উগ্রপন্থীরা কলকাতা থেকে ধরা পড়ছে। বাংলাদেশের সিমি, জামাত উগ্রপন্থীরা, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী সকলেই এখানে এসে আশ্রয় নেয়। এমনটা কেন হয়?’
তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘৪ হাজার কোটি টাকা দামের পাথর উদ্ধার হল। আফগানিস্তানের মুদ্রা এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। বারবার কেন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটবে? আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর বাংলার প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষকে সতর্ক হওয়া দরকার রয়েছে। সরকার যদি সতর্ক না হয় এখানকার সমাজ জীবন নষ্ট হয়ে যাবে’।