পুরভোটের আগে বহু নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। আর তারই মধ্যে দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র থেকে পদত্যাগ করলেন দিলীপ কুমার অগস্থি। তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। তাঁর মেয়ের পদের মেয়াদ রয়েছে এখনও ৯ মাস। তার আগে তিনি কেন পদত্যাগ করলেন। সেই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।
ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে তৃণমূল। তাঁর পদত্যাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের জল্পনা শোনা যাচ্ছে। দলের অনেকেই মনে করছেন, তাঁর কাজে খুশি ছিল না দল। তাই তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরিয়ে দিতে চাওয়া হয়েছিল। আবার অনেকেই মনে করছেন, পুরসভার কাজ ঠিকমতো করতে না পারায় তিনি নিজেই মাসখানেক আগে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলে। আর এরই মাঝে তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের একাংশের মতে, সম্প্রতি সিবিআই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বর্ধমানের পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে। দিলিপের বিরুদ্ধেও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে মেয়র পদ থেকে তাকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ফলে সে কারণেই তিনি ইস্তফা দিতে পারেন বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
যদিও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিলীপ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল সভাপতি বিধান উপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানান, 'দিলীপের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। এরপরে দল পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।' অন্যদিকে মঙ্গলবার তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরেই দুর্গাপুর পুরনিগমের পরবর্তী মেয়র কাকে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এতদিন ডেপুটি মেয়রের পদ সামলাচ্ছিলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায় স্ত্রী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে পরবর্তী মেয়ার করার সম্ভাবনাই বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে পুরসভা নির্বাচনে দুর্গাপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন প্রাক্তন ডব্লিউ বিসিএস আধিকারিক দিলীপ। এরপর থেকেই তিনি মেয়রের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। যদিও ঠিক কী কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।