কোচবিহারের দিনহাটা কলেজের প্রশাসনিক ভবন। তার সামনেই উদ্দাম নাচ। একেবারে চটুল গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচ। এরপর রিল বানিয়ে তা পোস্ট করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই একেবারে নিন্দার ঝড় শুরু হয়ে যায়। তবে বিতর্ক আঁচ করেই রিলটি মুছে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। অনেকেই ডাউনলোড করে ফেলেছেন সেই ভিডিয়ো। আসলে রিল করার নেশায় পড়ুয়ারা স্থান কালের ভেদাভেদ করতে পারেননি। কেন কলেজে এই ধরনের রিল বানানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
কলেজ কর্তৃপক্ষের কানেও বিষয়টি যায়। এরপরই ওই ছাত্রছাত্রীদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। ডিসিপ্লিনারি কমিটিও এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। তারপর অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চান ছাত্রছাত্রীরা। আগামীদিনে কলেজে এই ধরনের কাজ তারা করবেন না বলে জানিয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আউলাল জানিয়েছেন, ডিসিপ্লিনারি কমিটির সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছিলাম। সাতজন ছাত্রছাত্রী যারা নাচ করেছিল তারা লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। এরপর ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে বিষয়টি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে ছাত্রছাত্রী মহলেও শোরগোল পড়ে। অনেকেরই মতে, কলেজের মধ্য়ে এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। কারণ এতে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে। তাছাড়া একবার যদি এটা প্রবনতা হয়ে যায় তবে অনেকেই কলেজে রিল বানাবেন। এরপর তা আর সামলানো যাবে না। কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে।
ছাত্র সংগঠনও এনিয়ে সরব হয়েছেন। এসএফআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে এই ঘটনা যাতে আগামী দিনে না হয় সেটা দেখা দরকার। অন্য়দিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নেবে তার পাশে আমরা থাকছি।
এদিকে ওই ছাত্রছাত্রীরাও তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। কলেজে নাচ করে রিল বানালে পরিস্থিতি কী হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তারা।