জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজ অফ কমার্সের অডিট রিপোর্টে লক্ষাধিক টাকার গরমিল ধরা পড়ল। তা নিয়ে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তৎকালীন টিচার-ইন-চার্জ সুনীলকুমার জানা কলেজের আয়ব্যয়ের অডিট করেননি বলে অভিযোগ। ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন সিদ্ধার্থ সরকার। তিনি দাবি করেছেন, গত দু'বছরের অডিটের সময় পুরো গরমিলৈের বিষয়টি ধরা পড়েছে। তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণের আগে পর্যন্ত ১২২,৫০০ টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সিদ্ধার্থবাবুর।
গরমিলের বিষয়টি নিয়ে সুনীলবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলেও কোনও উত্তর দেননি বলে অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের। তারপরই কলেজের গভর্নিং বডির পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিদ্ধার্থবাবু।
যদিও সুনীলবাবুর দাবি, কোনও আর্থিক লেনদেন করেন না টিচার-ইন-চার্জ। সেই দায়িত্ব থাকে ক্যাশিয়ারের কাছে। তাই সেই সংক্রান্ত হিসাব দিতে পারবেন ক্যাশিয়ার। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, লিখিতভাবে ক্যাশিয়ার জানিয়েছেন যে বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার একদিন আগেই তৎকালীন টিচার-ইন-চার্জের হাতে ওই অর্থ তুলে দিয়েছিলেন তিনি।