বাংলার ভোট মানেই অনেকেরই মনে পড়ে যায় নকুলদানা, গুড় বাতাসার কথা। তবে এই তত্ত্বের যিনি জনক সেই অনুব্রত মণ্ডল এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি। সিবিআইয়ের তলবের দিনই তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তবে তিনি ভোট ময়দানে না থাকলেও তাঁর নকুলদানা, বাতাসা দিব্যি আছে ভোটবাজারে। তেমনই ছবি দেখা গেল আসানসোলের জামুরিয়ায়। মঙ্গলবার সকাল সকাল আসানসোলে ভোটারদের মধ্যে বিলি করা হল এই নকুলদানা, বাতাসা।
মাথার উপর চাঁদি ফাটা রোদ্দুর। তার মধ্যেই আসানসোলে ভোট। ভয়াবহ গরমের মধ্যে ঘেমে নেয়ে ভোট দিতে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। আর একেবারে থালায় নকুলদানা, বাতাসা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু এটা তো বীরভূমের মাটি নয়। তবে কেন এখানে নকুলদানা, গুড় বাতাসা? তবে কী গোটা বাংলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে নকুলদানা, গুড় বাতাসার তত্ত্ব?
তবে এভাবে ভোটারদের নকুলদানা, বাতাসা দেওয়ার কারণটা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ‘আসানসোলের দায়িত্বে ছিলেন কেষ্টদা। নকুলদানা, গুড়, বাতাসা দিয়ে মানুষকে সেবা করার প্রচলন রয়েছে। মানুষ এই গরমের মধ্যে ভোট দিচ্ছেন। আসছেন, যাচ্ছেন। তাঁদেরকে জল, বাতাসা, নকুলদানা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভোটের সঙ্গে এক কোনও সম্পর্ক নেই। দিদির উন্নয়নে ভোট আমাদের এমনিতেই বাড়বে। দাদা দায়িত্বে আছেন। দাদা আমাদের অবজার্ভার। দাদা হাসপাতালে থাকলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’