আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম-সহ পাঁচটি মেডিকেল কলেজে অস্থায়ী ভবনে পঠনপাঠনের কাজ শুরু হবে। তবে সেই পঠনপাঠনের কাজ কোথায় হবে, সেজন্য বিকল্প জায়গা খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ঝাড়গ্রামে স্থায়ী ভবন তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্যাসাগর পল্লিতে ১৬ একর জমিতে চলছে এই স্থায়ী ভবন তৈরির কাজ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশনের সূত্র অনুযায়ী, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম-সহ পাঁচটি মেডিকেলে কলেজে পঠনপাঠনের কাজ শুরু হবে। গত ৮ জুলাই পাঁচ জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে অস্থায়ী ভবন খোঁজার নির্দেশ দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশন। সেই নির্দেশ মতোই ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল তৈরির জন্য জমি দেখেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশনের তরফে কাজটি করছে সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। ২০১৯ সালে এই মেডিকেল কলেজ তৈরিতে কাজ শুরু হলেও জমি জটে আটকে যায়। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই জমির বেশ কিছুটা অংশ সংরক্ষিত বনভূমি বলে আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। কিন্তু সেই জনস্বাস্থ্য মামলায় হেরে যান তিনি। ফের এই মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়ুয়ার আসন সংখ্যা হবে ১০০ জন। আগামী শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন ছাত্র ও ৫০ জন ছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সংস্থার প্রতিনিধিরা জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাঁচ তলাটি মেডিকেল কলেজের জন্য দেখে গিয়েছেন। তবে সেই তলাটি এই কাজে ব্যবহার করা হবে কিনা, সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বিকল্প জায়গা খুঁজতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই মেডিক্যাল কলেজের জন্য ৪ হাজার বর্গফুট এলাকার প্রয়োজন। এই এলাকার মধ্যে দুটি লেকচার হল, তিনটি ল্যাবরেটরি, তিনটি ডেমনস্ট্রেশন রুম, লাইব্রেরি, শবাগার থাকা প্রয়োজন।