ইতিমধ্যেই চার পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে এখন বহু পুরসভার–পুরনিগমের নির্বাচন বাকি রয়েছে। সেগুলি পরে হবে। কিন্তু তার আগে একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এই নির্দেশিকায় জড়িয়ে গিয়েছে ছয়টি পুরসভার অধিকাংশ বিদায়ী পুরকর্তা এবং ওয়ার্ড কো–অর্ডিনেটররা। এই নির্দেশিকা জারি করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতর। যার জেরে আগামী পুরসভা নির্বাচনে অনেক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারা নিয়েই সংশয় পর্যন্ত দেখা দিয়েছে।
কোন ৬টি পুরসভা রয়েছে এই নির্দেশিকায়? জানা গিয়েছে, এই নির্দেশিকায় মহেশতলা, বজবজ, বারুইপুর, জয়নগর–মজিলপুর এবং রাজপুর–সোনারপুর পুরসভা রয়েছে। এখানের নির্বাচন হয়েছিল ২০১৫ সালে। শুধু ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। সুতরাং এখন সময় হয়ে গিয়েছে এইসব পুরসভার নির্বাচনের। তার মধ্যেই জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
ঠিক কী নির্দেশিকা জারি হয়েছে? এই নির্দেশিকায় বিদায়ী পুরকর্তা থেকে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর–সহ বিভিন্ন দলের পরাজিত প্রার্থীদের নামের তালিকা রয়েছে। এই বিদায়ী পুরকর্তা থেকে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর–সহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা গত পুরসভা নির্বাচনের খরচের হিসাব এখনও পর্যন্ত জমা দেননি। সেই খরচের হিসাব আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর তা জমা না দিলে আইনি জটিলতা দেখা দেবে।
এখন রাতারাতি এত বছর পরের খরচের হিসাব খুঁজে পাওয়াই তো মুশকিল। তবে কয়েকজনের কাছে আবার রয়েছে। যাঁরা এখন মাথায় হাত দিচ্ছেন তাঁদের দাবি, নির্বাচনের পর সব নথি জমা দেওয়া হয়েছিল। আবার প্রশাসনের বক্তব্য, জমা যদি দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে তার জেরক্স তাঁদের কাছে থাকা উচিত। পাল্টা বিদায়ী প্রার্থীদের বক্তব্য, সময়মতো খরচের হিসাব না দিলে নির্বাচন কমিশন থেকে নোচিশ দেওয়া হতো। তা তো হয়নি। আর এই টানাপোড়েনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের দফতর থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনই বিষয়টি জেলাশাসকের অফিসে জানিয়েছে। তাই নির্দেশিকা জারি হয়েছে।