করোনাভাইরাসকে থোরাই কেয়ার করে বেজে উঠল ডিজে। উল্টোরথে বাজানো হল দেদার ডিজে। ময়নায় সেই শব্দ তাণ্ডব থামাতে গিয়েছিল পুলিশ। আর তাতেই আক্রান্ত হল পুলিশ। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১৪ জনকে। এই ঘটনা যে ঘটবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ময়না থানার নৈছনপুর–১ পঞ্চায়েতের চিরঞ্জীবপুর গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ডিজে–সাউন্ডবক্স বাজানোর প্রতিযোগিতা চলছিল। আর তাতেই কান ফাটছিল সাধারণ মানুষের। কারণ শতাধিক সাউন্ড বক্স–সহ ডিজের শব্দে জেরবার হচ্ছিলেন স্থানীয়রা বলে অভিযোগ উঠে। সেই অভিযোগ পুলিশের কানে পৌঁছতেই রাতে ময়না থানার ওসি–সহ পুলিশ বাহিনী ওই গ্রামে যান। ডিজে–সাউন্ডবক্স বাজানোর যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করেন। তখন কয়েকজন গ্রামবাসী সেখান থেকে পালিয়ে যান। আর উদ্যোক্তারা মাইকে ঘোষণা করে সবাইকে চলে যেতে বলেন। এই ঘোষণা করতেই কয়েকশো গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন। এবং ইট–পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। তাতে তপন ভুঁইয়া নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় আঘাত লাগে। পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
তারপর আরও রাতে তমলুকের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে তমলুক, নন্দকুমার এবং ময়না থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই গ্রামে গিয়ে তল্লাশি চালায় এবং ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর আক্রমণ, সরকারি গাড়ি ভাঙচুর এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়া–সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চারজনের পুলিশ হেফাজত ও ১০ জনের জেল হেফাজত হয়েছে।
আবার ভগবানপুর থানা এলাকার আসুটিয়া গ্রামেও এমন ছবি দেখা যায়। সেখানে রথের মেলায় ডিজে প্রতিযোগিতা বসেছিল। অভিযোগ, রাতে ডিজের প্রতিযোগিতায় বহু যুবক জড়ো হয়ে নাচানাচি শুরু করেন। সেখানে শতাধিক গ্রামবাসী জড়ো হয়েছিলেন। খবর পেয়ে রাতে ভগবানপুর থানার পুলিশ গিয়ে ডিজে প্রতিযোগিতা বন্ধ করে এবং কয়েকজনকে আটক করে।