ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ঘুরেছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এমনটাও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠতে শুরু করেছে। এবার সেই পরীক্ষা বাতিলের বড় দাবি তুলে দিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার বর্ধমানে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই দাবি তোলেন।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পরীক্ষা বাতিল করা দরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁস পশ্চিমবঙ্গে যেন নতুন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। পুরো শিক্ষামন্ত্রক জেলের মধ্যে চলে গিয়েছে। তবু ভেতরের মধ্যে ভূত গুলো বসে রয়েছে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার মান নেমে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
এদিকে ডিএলএডে প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারটি অবশ্য সরাসরি স্বীকার করতে চায়নি পর্ষদ। পর্ষদের দাবি, এনিয়ে তদন্ত করা হবে। কেউ জড়িত কি না সেটা দেখা হবে। সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য় কেউ ষড়যন্ত্র করেছে বলেও পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ। এনিয়ে খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পরীক্ষার্থীরা দলে দলে আন্দোলনে নেমেছেন। দিনের পর দিন ধরে তাঁরা ধরনা অবস্থানে নেমেছেন। তারপরে অবস্থার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। কেন ডিএলএড পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র বেরিয়ে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই পরীক্ষা বাতিলের দাবিও উঠতে শুরু করেছে।
এত কেলেঙ্কারির পরেও কেন পরীক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা যাচ্ছে না তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। তবে কি বাস্তবে গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থার পেছনে এখনও নানা অসাধু চক্র কাজ করছে? তবে এবার এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে সত্যি কি পরীক্ষা বাতিল হবে? আর পরীক্ষা বাতিল না হলে এই পরীক্ষাকে কি আদৌ স্বচ্ছ বলে উল্লেখ করা যায়? এর আগে প্রশ্নপত্র আগাম ফাঁস হয়ে গেলে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার নজির রয়েছে। সেই পথে কি আদৌ হাঁটবে পর্ষদ?