নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়ায় একের এর এক বাঙ্কার আবিষ্কারের ঘটনায় বিবৃতি জারি করল বিএসফ। বিএসএফের বিবৃতিতে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ফেন্সিডিল পাচার করতেই বিভিন্ন জায়গায় এই ধরণের বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে তারা। তবে এই বাঙ্কারের পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শনিবার দুপুর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত নদিয়ার মাজদিয়ায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ৪টি বাঙ্কার আবিষ্কার করেছে বিএসএফ। তবে বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার মাজদিয়া এলাকায় বিশাল পাচারচক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৬২০০০ বোতল কাশির সিরাপ। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩টি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থেকে এই কাশির সিরাপের বোতলগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
গোপন খবরের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ প্রথম বাঙ্কারটির খোঁজ পায় বিএসএফ। এর পর আরও ২টি বাঙ্কারের খোঁদ পায় তারা। রবিবার সকালে স্থানীয় একটি আম বাগানে আরও ১টি বাঙ্কারের খোঁজ মেলে। দেড় কিলোমিটারের মধ্যে খোঁজ মেলে ৪টি বাঙ্কারের। যেখানে বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। প্রশ্ন উঠছে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে যদি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার কাশির সিরাপ উদ্ধার হয়ে থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে এই পাচারশিল্পের মোট পরিমাণ কত?