পর্যটনে এবার নয়া দিশা উত্তরবঙ্গে। গত ৫ই মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিরিক্ত সচিব পর্যটন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। আর সেই চিঠিকে ঘিরে এবার নতুন আশায় বুক বাঁধছে উত্তরবঙ্গের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত লোকজন। এর সঙ্গেই পর্যটকদের কাছেও নতুন দুয়ার খুলে যাচ্ছে এবার। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষুদ্র চা বাগানের জন্য একটি একটি পলিসি আনা হচ্ছে যেখানে চা -পর্যটনে তাদের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এটি ভিলেজ ইকো ট্যুরিজম বলেও উল্লেখ করা যেতে পারে।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া একটি চিঠির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত চা পর্যটনের শরিক হতে চাইছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরাও। যেটা বর্তমানে শুধু বড় চা বাগানেই রয়েছে। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র চা বাগানের মালিকদেরও ভিলেজ ইকো ট্যুরিজম বা হোম স্টে প্রজেক্টে তৈরিতে সহায়তা করা যেতে পারে। এনিয়ে পর্যটন দফতরের মতামত চেয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ স্তর।
এদিকে সূত্রের খবর, কোনও চা বাগানের ১৫ শতাংশ জমিকে এই পর্যটনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এদিকে উত্তরবঙ্গে বর্তমানে অজস্র ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ এই বাগানগুলির সঙ্গে যুক্ত। এদিকে ক্ষুদ্র চা বাগান সংলগ্ন এলাকাতেই যদি হোম স্টে করার অনুমতি পান বাড়তি রোজগারের পথ দেখবেন তাঁরা। অন্যদিকে পর্যটকদের জন্যও এটা আশার কথা। কারণ উত্তরবঙ্গে একাধিক পর্যটন স্থানের কাছেই চা বাগান থাকে। কিন্তু সেখানে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এবার সেই প্রকৃতির মাঝেই রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকরা। সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়।