কোভিড রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের মাশুল দিতে হলো চিকিৎসককে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পা ধরে ক্ষমা চাইলেন ওই চিকিৎসক। এমনই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকের নাম ডা. জাহিরুল ইসলাম। তিনি কান্দি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক।
কি ঘটেছিল?
ঘটনাটি শনিবারের। কান্দি বাজার এলাকার এক যুবক করোনা পজিটিভ ছিলেন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তিনি কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পরেই আউটডোরে থাকা ওই চিকিৎসক যুবকের সঙ্গে মোটেও ভালো ব্যবহার করেনি বলে অভিযোগ। প্রেসক্রিপশন তার হাতে দিতে চাননি ওই চিকিৎসক। বরং ছুঁড়ে দূরে ফেলে দেন। যুবকের অভিযোগ, শুধুমাত্র তার সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার করেননি তিনি। অন্যান্য সমস্ত রোগীদের এভাবেই চিকিৎসকের দুর্ব্যবহার সইতে হচ্ছিল। যুবকের মতো যতই তিনি করোনা রোগী হন না কেন, একজন চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন এটাই কাম্য।
ঘটনাক্রমে সেই সময়ই হাসপাতাল পরিদর্শন করতে এসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সন্দীপ সান্যাল। চিকিৎসকের এহেন দুর্ব্যবহার মেনে না নিয়ে তখনই স্বাস্থ্য কর্তাকে সামনে পেয়ে নালিশ জানান ওই যুবক। তারপরেই তৎপরতার সঙ্গে ওই চিকিৎসককে হাসপাতাল সুপারের ঘরে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পরেই নিজের ভুল স্বীকার করে নেন চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে তখনই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পা ধরে তিনি ক্ষমা চেয়ে বসেন।
এবিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, সমস্ত চিকিৎসকদের কোভিড রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিধায়কও এনিয়ে চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করছেন। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি শাখাবর সরকার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।