ভুল ইনজেকশন দিয়ে আব্বাকে মেরে ফেলেছে ডাক্তার

মৃতের ছেলে শেখ আলমগির বলেন, ‘১১ টা সময় হাসপাতালে এনেছি। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হয় ১২টা সময় অর্থাৎ এক ঘণ্টা পর। এরপর ওয়ার্ডে নিজে এনেছি। এরপর একবারও ভালোভাবে চিকিৎসা হয়নি। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করলেও স্যালাইন দেয়নি।

চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরে সিউড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ।

পড়তে থাকুন - ২১ জুলাই 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করবে BJP, ২২ জুলাই CESC অভিযান

 

মৃতের আত্মীয়ের থেকে জানা গিয়েছে, সিউড়ির বাঁশঝোড় গ্রামের বাসিন্দা সেখ লালু (৪৩)। এদিন সকালে লালু কীটনাশক খেয়ে ফেলে৷ এরপরেই স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। অভিযোগ, সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর সঠিকভাবে চিকিৎসা হয়নি। এমনকি নার্সদের বলা হলেও তাঁরা কথার কানে তোলেননি। এরপরেই রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর মৃত্যুর পরই আত্মীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। হাসপাতালের ভিতরে চলে বাকবিতণ্ডা। খবর পেয়েই সিউড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মৃতের ছেলে শেখ আলমগির বলেন, ‘১১ টা সময় হাসপাতালে এনেছি। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হয় ১২টা সময় অর্থাৎ এক ঘণ্টা পর। এরপর ওয়ার্ডে নিজে এনেছি। এরপর একবারও ভালোভাবে চিকিৎসা হয়নি। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল করলেও স্যালাইন দেয়নি। বার বার চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করলে তাঁরা দুর্ব্যবহার করেছেন। রাত ৮টা নাগাদ এক মহিলা চিকিৎসক এসে ইনজেকশন দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় রোগীর। চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে।’