বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Paschim Medinipur: ডাক্তারি পাশ করে নিজের গ্রামে ফিরে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করলেন চিকিৎসক

Paschim Medinipur: ডাক্তারি পাশ করে নিজের গ্রামে ফিরে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করলেন চিকিৎসক

চিকিৎসক সন্তু বাসুলীকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

মেদিনীপুর সদর ব্লকের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলে পড়াশোনা ওই চিকিৎসকের। ২০২০ সালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি এমডি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজের গ্রামের মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করার ইচ্ছে ছোট থেকেই ছিল এই চিকিৎসকের।

অনেক গ্রামের মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পান না। সেরকমই একটি গ্রাম হল মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাইকারপুর গ্রাম। তাই এই গ্রামের মানুষদের কাছে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে এমবিবিএস পাশ করে বিনা পয়সার ক্লিনিক শুরু করলেন তরুণ চিকিৎসক ডাক্তার সন্তু বাসুলী। মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাইকারপুর গ্রামে গত রবিবার বিনা পয়সার ক্লিনিক শুরু করেছেন এই তরুণ চিকিৎসক।

মেদিনীপুর সদর ব্লকের চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলে পড়াশোনা ওই চিকিৎসকের। ২০২০ সালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি এমডি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিজের গ্রামের মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করার ইচ্ছে ছোট থেকেই ছিল এই চিকিৎসকের। অবশেষে নিজের ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করলেন এই তরুণ চিকিৎসক। তাঁর ক্লিনিক শুরুর দিন উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। তিনি কৃতি ছাত্রকে উৎসাহিত করেন। এছাড়াও, চিকিৎসকের বাবা গোবিন্দ বাসুলি নিজেও উপস্থিত থেকে ছেলেকে উৎসাহিত করেন। পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসককে চারা গাছ এবং ফুলের স্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। চিকিৎসকের উদ্যোগে খুশি তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষকরা। আর সেই সঙ্গে এলাকায় একজন চিকিৎসককে পেয়ে গ্রামবাসীরাও খুশি।

ডা. সন্তু বাসুলী জানান, তিনি সপ্তাহে একদিন গ্রামের মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করবেন। কারণ বহু গ্রামের মানুষ এখন প্রকৃত চিকিৎসা পরিষেবা পান না। এর ফলে গ্রামবাসীরা উপকৃত হবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করাটা আমার সৌভাগ্য। অনেক মানুষ ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পান না। তাই সপ্তাহে একদিন সেই সমস্ত গ্রামের মানুষদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রথম দিন তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ১৮ জন রোগী। পাইকারাপুর মিলন সংঘ ক্লাবের সহযোগিতায় মিলন সংঘ প্রাঙ্গণে এই বিনা পয়সার ক্লিনিক শুরু হয়েছে।

বন্ধ করুন