আরজি করে নৃশংস ঘটনার পরেই দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। বিচারের দাবিতে টানা আন্দোলন চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রথমে আরজি কর হাসপাতালে ও পরে অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যোগ দেন। তার ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগী পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বহু রোগীকে। এই অবস্থায় আর রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজের যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছে। তারপরেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি নদিয়ার আর একটি বড় হাসপাতাল জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি শেষে কাজে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল ওই সন্দীপই…মদত ছিল তৃণমূলের, বিস্ফোরক চিকিৎসক নেতা
প্রায় ১১ দিন কর্মবিরতির পর কল্যাণী এইমসের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলে নেন। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতোই এতদিন এইমস হাসপাতালের বহির্বিবিভাগ বন্ধ ছিল। চালু ছিল শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ। তবে শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার এবং রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তাররা। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, তাদের আন্দোলন চলবে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, সব জুনিয়র এবং রেসিডেন্সিয়াল ডাক্তাররা কাজে যোগ দিয়েছেন। এই হাসপাতালে বহির্বিভাগ পরিষেবা এখন স্বাভাবিক। তবে দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, জহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে টানা ১৩ দিন ধরে কর্মবিরতি চলে।সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররাও কাজে যোগ দিয়েছেন। ওই হাসপাতালেও রোগী পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারাও কিছুটা সুর নরম করেছেন। কাজে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করছেন জুনিয়র ডাক্তার ও ইন্টার্নরা। ১৪দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে চলছে কর্মবিরতি। তবে তারা এখন কাজে ফিরতে চাইছেন। এবিষয়ে এক জুনিয়র ডাক্তারের বক্তব্য, তাঁরা কাজে ফিরতে চাইছেন। এনিয়ে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। তার পরে দিল্লির এইমস হাসপাতালের ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলে নেন। আর এবার বাংলার দুটি হাসপাতালে উঠল চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। দ্রুত অন্যান্য হাসপাতালেও রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে প্রশাসন।