ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হাওড়া হাসপাতলে। রোগীর ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা ভাঙচুর চালাল হাসপাতালে। মারধর করা হল দুই চিকিৎসককে। এই ঘটনায় এক চিকিৎসকের মাথা ফেটে যায় এবং অন্য চিকিৎসকের হাত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে মৃত রোগীর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত রোগের নাম কার্তিক দে। তিনি লিলুয়ার পটুয়াপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে কার্তিককে বৃহস্পতিবার হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শনিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতের ছেলে এবং পরিবার। এই অভিযোগ তুলে প্রথমে তারা চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ২ চিকিৎসকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরেই তাদের ওপর চড়াও হন এবং চিকিৎসকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগে পুলিশ রোহিত নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
যদিও যুবকের দাবি, ‘বাবা অসুস্থ ছিল। অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। চিকিৎসকদের বহুবার ঢাকা সত্বেও তারা আসেননি। সেই কারণেই বাবার মৃত্যু হয়েছে।’ এই ঘটনায় রোগী পরিবারের পক্ষ চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আহত দুই চিকিৎসকের চিকিৎসা চলছে।