বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও আবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হয়রানির শিকার হতে হল এক রোগীকে। এমনকী এই কার্ড ফেরালেন স্বয়ং একজন চিকিৎসক বলে অভিযোগ। আর চিকিৎসক এই কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ায় আটকে গেল অপারেশন। খড়্গপুরের সালুয়া এলাকার বাসিন্দা গণেশ থাপার সঙ্গে এই ঘটনাই ঘটেছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে কড়া বার্তা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপরও এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে এক রোগী অপারেশন করার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে হাজির হন। কিন্তু তাঁর অপারেশন হয়নি। কারণ, স্বয়ং চিকিৎসক স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে অপারেশন করেন না। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছে তাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে কোনও আপত্তি নেই। ওই রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হলেও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন আসে চিকিৎসকের সহকারীর। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঠিক কী জানানো হয়? ওই রোগীকে ফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সম্পূর্ণ অপারেশন করা যাবে না। কারণ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়ে থাকে। কিন্তু অপারেশনের খরচ অনেক বেশি। ৪০ হাজার টাকা লাগবে অপারেশন করার জন্য। তাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ১৫ হাজার টাকা বাদ দিয়ে, ২৫ হাজার নগদ দিতে হবে। সেটাও হাসপাতালের বাইরে। তবেই অপারেশন হবে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ফোন পেয়ে চমকে যান গণেশ থাপার বাড়ির সদস্যরা। কিন্তু ওই টাকা দিতে পারেননি তাঁরা। তাই দিনভর বেসরকারি হাসপাতালে হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেও অপারেশন হয়নি। অপারেশন না করেই ফিরে যেতে হয় গণেশ থাপাকে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সুতরাং স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে কড়া বার্তা সরকার দিলেও এমন ঘটনা ঘটছে।