নিজেদের কথা ভেবে নয়, দেশের স্বার্থেই বিজেপির মোকাবিলায় সবাইকে এক জোট হতে হবে। শারদ সংখ্যায় ‘জাগো বাংলা’–এর দলীয় মুখপত্রে এই বার্তাই দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে কংগস যে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করলেন। তবে তিনি যে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করতে চান না, সেই কথাও স্পষ্ট হয়েছে।
এবার তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে শারদ সংখ্যায় তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, ‘বিকল্প জোটের নেতৃত্ব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। কিন্তু বাস্তবটা কংগ্রেসকেও অনুভব করতে হবে। অন্যথায় বিকল্প জোট গঠনে ফাঁক থেকে যাবে।’ তা থেকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্বের ব্যাটন নিজের হাতেই রাখার বার্তা দিলেন মমতা?
একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নিজেদের অঙ্কে নয়, দেশের স্বার্থে সবাইকে একজোট হতে হবে। আমরা কখনই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে মঞ্চ তৈরির কথা ভাবছি না। বলছি না। কিন্তু নীতির ভিত্তিতে, কর্মসূচির ভিত্তিতে রাজনৈতির মঞ্চ তৈরি করতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি তাঁর লেখায় স্পষ্ট করে দেন, ‘তৃণমূল বিজেপি বিরোধী সকলকে নিয়ে চলতে চায়। তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরে নতুন ভারত স্বপ্ন দেখছে।’ কংগ্রেসের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে দলীয় মুখপত্রের শারদ সংখ্যায় তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক অতীতে কংগ্রেস দিল্লিতে বিজেপির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত দুটি লোকসভাই তাঁর প্রমাণ। দিল্লিতে যদি লড়াই না থাকে, তাহলে মানুষের মনোবল কমে যায়। এর ফলে রাজ্যগুলিতেও বিজেপি বাড়তি ভোট পেয়ে যায়। এবার সেটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না।’
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সামনের এই কয়েকটি বছরের মধ্যে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি বিস্তারে জোর দিয়েছে তৃণমূল। শুধু পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও যাতে দলের সংগঠন জোরদার হয়, সেদিকেও জোর দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। গোয়া, ত্রিপুরা-সহ বেশ কিছু রাজ্যে তৃণমূল ইতিমধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর এই বার্তা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।