শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ করলে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তাঁর দাবি, তৃণমূল চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে। দলে এরকম অনেক শুভেন্দু রয়েছে।
এদিন অখিল গিরি বলেন, ‘শুভেন্দু থাকল না গেল তাতে দলের কিছু আসে যায় না। শুভেন্দু থেকেই বা কী লাভ হচ্ছে? চলে গেলেই বা কী ক্ষতি হবে? তাড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই। দলে এরকম অনেক শুভেন্দু অধিকারী রয়েছে। যদি মনে করে থাকবে তো থাকবে। থাকবে না মনে করলে থাকবে না। দল মমতাকে দেখে তৈরি হয়েছে। কে গেল-এল সেজন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলে এরকম বহু শুভেন্দু অধিকারী রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রামনগরেই সমবায় সপ্তাহের এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি একটা দলের প্রাথমিক সদস্য। আমি একটা মন্ত্রিসভার সদস্য। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী তাড়িয়ে দেননি। আমিও ছাড়িনি।’ সঙ্গে নাম না করে তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমি একদিন দুদিনের লোক নই। আমি বসন্তের কোকিলও নই। করোনা, লকডাউন, আমফান সব সময় আমি ছিলাম। আর ভোটের জন্য আমি এসব করিনি।’
ওদিকে বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে শুভেন্দুর সঙ্গে রফার চেষ্টা করছে দল। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ সৌগত রায় ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত সপ্তাহে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সাংসদ সৌগত রায়। এরই মধ্যে অখিল গিরির চড়া সুর শুনে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শুভেন্দুকে আপাতত নরমে গরমে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল।