যে কোনও অপরাধের রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে কুকুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এবার সেই ডগ স্কোয়াডের পরিসর আরও বাড়াতে চাইছে পুলিশ। প্রতিটি জেলা ও কমিশনারেটে যাতে ডগ স্কোয়াড তৈরি হয়, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এই ডগ স্কোয়াডের সংখ্যা বাড়লে অপরাধ দমন আরও সহজ হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।
রাজ্য পুলিশের তরফে নবান্নের কাছে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনারেট, জেলা পুলিশ ও রেল পুলিশ মিলিয়ে মোট ৩৮টি জায়গায় ডগ স্কোয়াড তৈরি করা হবে। প্রতিটি ডগ ইউনিটে চারটি করে কুকুর থাকবে। দুটি থাকবে ক্রাইম ট্র্যাকার হিসেবে। আর অন্য দুটি থাকবে স্নিফার হিসেবে। এক থেকে দু'মাস বয়সের কুকুরদের ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ডগ ইউনিটে পাঠানো হবে। এই সব কুকুররা নিয়মিত বেতন পাবে। এই বেতনের টাকা কুকুরদের পরিচর্চার কাজে সংগঠিত হবে। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, ল্যাব্রাডর ও জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ল্যাব্রাডর গন্ধ শুঁকতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে জার্মান শেফার্ড সাধারণত ক্রাইম ট্র্যাকার হয়। এই দুই প্রজাতির পর অন্য প্রজাতির কুকুর কেনা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, এখন রাজ্য সরকারের হাতে ৬০টি কুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি কুকুর থাকে স্বামী বিবেকানন্দ ট্রেনিং সেন্টারে। বিভিন্ন জেলা, পুলিশ কমিশনারেট ও রেল পুলিশের হাতে কিছু কুকুর রয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় দুটির বেশি কুকুর নেই। কোথাও কোথাও ডগ স্কোয়াডই নেই। রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানান, নতুন জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটে কোনও দক্ষ কুকুর নেই। তদন্তের প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে কুকুর আনতে হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় পুলিশের হাতে কোনও কুকুরই নেই। সেখানে কোনও তদন্ত সংগঠিত করতে হলে মেদিনীপুর থেকে কুকুর আনতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে এবার পুলিশের তরফে জেলা জেলায় ডগ স্কোয়াড তৈরি করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।