ডলফিন কেটে বাজারে মাংস বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার মৎস্যজীবী। ঘটনায় মাছ বিক্রেতা ফেরার। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাটি কোচবিহারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বনকর্মীরা। উদ্ধার করা হয় মৃত ডলফিনটিকে। শনিবার ধৃতকে তুফানগঞ্জ আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ আইনের ধারায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই তুফানগঞ্জের চিলাখানা চরপাড়া এলাকার কালজানি ও রায়ডাক নদীর সংযোগস্থলে জলের মধ্যে ডলফিনটিকে লাফালাফি করতে দেখেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার এই খবর পায় তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ চিলাখানা চরপাড়ার বাসিন্দা মৎস্যজীবী আক্কাস আলি। সঙ্গে সঙ্গে জাল নিয়ে ছুটে যায় নদীতে। তারপর জলের মধ্যে জালটি বিছিয়ে রাখে আক্কাস। সন্ধ্যের দিকে তার বিছানো জালের মধ্যে আটকে পড়ে যায় ডলফিনটি। অভিযোগ ওঠে, জল থেকে ওই ডলফিনটিকে তুলে নেয় ওই মৎস্যজীবী।
পরে ছটফট করতে করতে মারা যায় ডলফিনটি। অভিযুক্ত ওই মৎস্যজীবী ২৫ কেজি ওজনের ওই ডলফিনটিকে সমীর শেখ নামের মাছ বিক্রেতাকে ৬,৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এদিকে অভিযোগ ওঠে, সমীর নামের ওই ব্যক্তি ডলফিনটিকে বাজারে নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বিক্রি করার তোড়জোড় শুরু করতেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। মৃত ডলফিনটি দেখতে ভিড় করেন অনেকেই।
এরইমধ্যে স্থানীয়রা ডলফিনটির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন। খবর দেওয়া হয় বনদফতরেও। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বন বিভাগের কর্মীরা। উদ্ধার করা হয় মৃত ডলফিনটির টুকরো করা দেহাংশ। বন দফতরের কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, ডলফিনটিকে পাচারের উদ্দেশে ধরা হয়েছিল। বন বিভাগেরকর্মীরা আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্ত সমীর। তারপর বনদফতরের কর্মীরা গ্রেফতার করে আক্কাস আলিকে। এদিন ধৃত আক্কাস আলিকে তুফানগঞ্জ আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্য দিকে, সমীর শেখের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।