মুর্দিদাবাদের নওদায় তৃণমূল নেতাকে খুনের রেশ কাটতে না কাটতে জেলায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। প্রাণঘাতী হামলা হল ডোমকলের তৃণমূল নেতা প্রদীপ চাকি ও তাঁর ছেলের ওপর। কাঠগড়ায় দলেরই বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম ও তাঁর অনুগামীরা। রবিবার দুপুরে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রদীপ চাকিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়েছেন পরিজনরা। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ। তখনই প্রদীপ চাকির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাটমানি খাওয়ার অভিযোগে পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এলাকার ৯২ জন মানুষের থেকে আবাস যোজনায় কাটমানি নিয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রদীপবাবু। ডোমকল মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে সেই অবরোধ বুঝিয়ে সুঝিয়ে তোলে পুলিশ।
এর ঠিক ঘণ্টা দুয়েক পরে বেলা ৩টে নাগাদ শহরের বুকেই ছেলের দোকানে বসেছিলেন প্রদীপবাবু। সেখানে সশস্ত্র অবস্থা পৌঁছয় বেশ কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। প্রদীপবাবু ও তাঁর ছেলেকে লাঠি ও বন্দুক দিয়ে ব্যাপক মারধর করে তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন প্রদীপবাবু। এর পর প্রথমে তাঁকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতাল ও সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দের অভিযোগ করেছেন প্রদীপবাবুর অনুগামীরা। তাঁরা বলেন, সাত দিন আগে স্থানীয় বিধায়ক তথা ডোমকল পুরসভার প্রশাসক জাফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রদীপবাবু। তার পর থেকেই বিধায়কের অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় সভা করে তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দিচ্ছিল। যদিও বিধানসভা চালু থাকায় বিধায়ক ছিলেন কলকাতায়। সপ্তাহান্তের ছুটিতে বিধায়ক ডোমকলে পৌঁছতেই প্রদীপ চাকির ওপর হামলা চালায় বিধায়কের অনুগামীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাফিকুল ইসলাম।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডোমকল থানার পুলিশ। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে জানতে প্রদীপ চাকির ছেলের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।