ফসলের নাড়া পোড়ানো বন্ধের জন্য নানা সতর্কতামূলক প্রচার চলে। কিন্তু তারপরেও ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোর নজির রয়েছে। এই নাড়া পোড়াতে গিয়ে শুধু পরিবেশ দূষণ হয় এমনটাই নয়। সম্প্রতি নাড়া পোড়়াতে গিয়ে মেমারির মামুদপুরে এক বৃদ্ধের মৃত্যুও হয়েছিল। এই মৃত্য়ু নাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় এক নবদম্পতিকে। এবার একেবারে বিয়ের আসরে তাঁরা অঙ্গীকার করলেন, নাড়া পোড়াব না, নাড়া পোড়াতে দেব না।
সঞ্জয় ঘোষ ও সুদেষ্ণা ঘোষ। বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দুজনেই। তবে আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝেও তারা ভোলেননি পরিবেশকে। মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠানে নবদম্পতি রীতিমতো অঙ্গীকার করেছে নাড়া পোড়াব না, নাড়া পোড়াতে দেব না। পরিবেশ বাঁচান, নিজে বাঁচুন। নাড়া না পুড়িয়ে জমির উর্বরতা শক্তি ধরে রাখুন।
কৃষি ভিত্তিক এলাকা।পরিবারের অনেকেই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। ছোটবেলা থেকেই এই নাড়া পোড়ানো দেখেছেন সঞ্জয়। তবে পরে বুঝেছেন নাড়া পোড়ানোর ক্ষতিকর দিকগুলি। আর এবার একেবারে বিয়ের আসরে তাঁরা বোঝালেন নাড়া পোড়ানোর কতটা ক্ষতিকারক পরিবেশের পক্ষে।
নব দম্পতি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই নাড়া পোড়াতে গিয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। নাড়া ধোঁয়ায় বিষ ছড়ায় পরিবেশে। সেকারণে নাড়া পোড়ানোর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা হয়েছে।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, নাড়া পোড়ানোর জেরে কৃষি জমির উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনিয়ে বার বার সচেতন করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। নাড়া পোড়ানোর জেরে পরিবেশ দুষণও হয়ে থাকে।
তবে শুধুই সচেতনামূলক প্রচার করাই নয়, নাড়া পোড়ায় না এমন দুজন কৃষকের হাতে কৃষি সরঞ্জামও তুলে দেওয়া হয়েছে।