দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে নরমে গরমে আধিকারিকদের সক্রিয় করার চেষ্টা চালালেন মমতা। সঙ্গে সতর্ক করলেন আসন্ন শারদোৎসবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, উদ্বাস্তুদের প্রশাসনিক স্বীকৃতির জন্য স্বস্বীকৃত নথিই যথেষ্ট। লাগবে না বিধায়ক বা কোনও সরকারি আধিকারিকের সুপারিশপত্র।
মঙ্গলবার ছিল জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যার কনফারেন্স হলে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন ২ জেলরা পদস্থ আধিকারিকরা। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বৈঠকে যোগ দেন দুই জেলার আইসি ও বিডিওরা।
এদিনের বৈঠকে একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট করেন, সরকারি কাজ ফেলে রাখা যাবে না। লাল ফিতের ফাঁসে হয়রান করা যাবে না সাধারণ মানুষকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, সরকার ইতিমধ্যে আইন করে উদ্বাস্তুদের স্বীকৃতির জন্য সেলফ অ্যাটাচটেড নথিকে বৈধ ঘোষণা করেছে। ফলে আর কোনও জনপ্রতিনিধি বা সরকারি আধিকারিকের সুপারিশ দরকার হবে না।
পুজোর আগে এদিন জেলা প্রশাসনকে সাবধান থাকার নির্দেশ দেন মমতা। বলেন, পুজোর সময় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে। সঙ্গে জনগণের অভাব অভিযোগ মেটাতে সরকারি আধিকারিকদের তৎপর হতে বলেন তিনি। রেশন নিয়ে মানুষের যেন কোনও অভিযোগ না থাকে সেদিকেও নজর দিতে নির্দেশ দেন তিনি।
বলে রাখি, সোমবার ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন মমতা। মঙ্গলবার ২ জেলার সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার উত্তরকন্যাতেই দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা। বৃহস্পতিবার কলকাতা ফেরার কথা তাঁর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে সাফ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে হারানো মাটি পুনরুদ্ধার করতে একদিকে যেমন দলে রদবদল করেছেন তিনি তেমনই প্রশাসনিক ইঞ্জিনকে সচল করে আরও কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।