রাতের অন্ধকারে এক যুবককে নির্মমভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল ডুয়ার্সে। ওই যুবককে নগ্ন করা হয় প্রথমে। তারপর গাছে বেঁধে ফেলা হয়। আর সব শেষে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই হত্যাকাণ্ড কয়েকজন যুবক মিলে করেছে বলে অভিযোগ। ওই যুবককে নগ্ন করে একটি সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। তারপর বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধরের জেরেই যুবকের মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। রবিবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় কূর্তি চা বাগান এলাকায়।
এই হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের পিছনে আছে আটজন যুবক। পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি তিনজন এখনও ফেরার। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পুরনো শত্রুতা আছে বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত ওই যুবকের নাম কিষান কুমহার (২৬)। কিষানকে আটজন যুবক মিলে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে স্ট্রংরুমে লকেট, বিজেপি প্রার্থীকে গো–ব্যাক স্লোগান, তুমুল উত্তেজনা
এই হত্যাকাণ্ডের পর পরিবারের সদস্যরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাই তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে নাগরাকাটা থানার পুলিশ। বাকিদেরও খোঁজ জোরকদমে চালাচ্ছে পুলিশ। এই হত্যার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় এই ঘটনা। পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।’ আইন অনুযায়ী সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। কিষানের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক যুবকের সঙ্গে তাঁদের ছেলের পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই আক্রোশ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের বাড়ি কূর্তি চা–বাগান এলাকায়। আর তাঁর স্ত্রীর বাড়ি ভগতপুর চা–বাগান এলাকায়। কদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন কিষানের স্ত্রী। তাই চিকিৎসার প্রয়োজনে কিষানের স্ত্রী বাপের বাড়িতে ছিলেন। স্ত্রীর অভিযোগ, গতরাতে অভিযুক্ত যুবকরা প্রথমে ভগতপুর চা–বাগান এলাকায় তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়েছিল কিষানের খোঁজ করতে। সেখানে না পেয়ে কূর্তি চা–বাগানে কিষানের বাড়িতে যায়। কিষানের মা জানান, ওই রাতে আটজন যুবক চড়াও হয় তাঁদের বাড়িতে। আর কিষানকে বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত যুবকরা। তিনি বাধা দিতে গেলে, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের কঠোরতম সাজার দাবি তুলেছেন মৃত কিষানের মা।