করোনা হাসপাতাল তৈরির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের দেওয়া জমি নিয়ে সংশয়ে আছে ডিআরডিও–এর পর্যবেক্ষক দল। পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকায় কল্যাণীতে এই হাসপাতাল তৈরির কথা। কিন্তু পর্যবেক্ষক দল এলাকা ঘুরে দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, যে জমি রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে, তাতে বর্ষার সময়ে জল জমতে পারে। জল জমলে হাসপাতালের পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। যদি রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ওই জমিতে জল জমে না। তবুও সংশয় কাটছে না পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কল্যাণীতে যে জমি ডিআরডিও–কে করোনার হাসপাতাল তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। গাছপালা কেটে হাসপাতাল করতে চাইছে না পর্যবেক্ষক দল। তাঁরা চাইছে, কোনও ফাঁকা জমি। তাতে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতাল তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। গত রবিবার সকালে সেই জমি পরিদর্শন করতে এসেছিলেন পর্যবেক্ষক দল। পি এম কেয়ার ফান্ডের টাকায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। এরজন্য কল্যাণীতে ইউনাইটেড ব্রিউয়ারিজের উল্টোদিকে ৩ একর জমি নির্দিষ্ট করে রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিআরডিও–এর পর্যবেক্ষক দলের জমি পছন্দ হয়নি। তাঁরা এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও একটি রিপোর্ট জমা দেবে। ফলে নদিয়ার কোথায় এই করোনা হাসপাতাল তৈরি হবে, সেবিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, হরিণঘাটায় আইসারের আশেপাশে কোনও খেলার মাঠের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেনি ডিআরডিও–এর পর্যবেক্ষক দল।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে শিশুদের চিকিৎসার যাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তারজন্য এই হাসপাতাল গড়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলাইয়ের মধ্যেই হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। ২০ দিনের মধ্যে পি এম কেয়ার্সের টাকায় হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।