বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > দুর্ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর মেয়ের মৃত্যুতে ঘাতক গাড়ির চালক গ্রেফতার

দুর্ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর মেয়ের মৃত্যুতে ঘাতক গাড়ির চালক গ্রেফতার

দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র।

গভীর রাতে ইলামবাজার জঙ্গলে একটি ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দ্বিতীয় গাড়িটির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুকন্যা ও মাধব দাসের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহগুলি পাঠায়। চালক সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গাড়ি দুর্ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের শিশুকন্যার মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে বীরভূমের পাড়ুই থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সানোয়ার খান নামে ওই লরিচালককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

সায়গল হোসেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কোনও কাজে সপরিবারে দুর্গাপুরে এসেছিলেন তিনি। ফেরার পথে একটি গাড়িতে ওঠেন সায়গল, তাঁর স্ত্রী ও বড় মেয়ে। অন্য গাড়িতে ওঠেন মাধব দাস নামে সায়গলের এক সহযোগী ও ৩ বছর বয়সী ছোট মেয়ে। গভীর রাতে ইলামবাজার জঙ্গলে একটি ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দ্বিতীয় গাড়িটির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুকন্যা ও মাধব দাসের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহগুলি পাঠায়। চালক সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ঘাতক গাড়ির চালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গভীর রাতে দ্রুতগতিতে একটি ট্রাককে ওভারটেক করে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটি ট্রাকের মুখোমুখি পড়ে যায় গাড়িটি। সজোরে সংঘর্ষ হয় ২টি গাড়ির।

ঘটনার পর থেকেই ট্রাক চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বিকেলে পাড়ুই থানার কেশবপুর মোড় থেকে সানোয়ার খান নামে ওই লরিচালককে গ্রেফতার করেছে তারা। ধৃতকে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির জেরে খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর।

বলে রাখি, অনুব্রত মণ্ডলের সব থেকে কাছের দেহরক্ষী হলেন সায়গল। তাঁর ফোন থেকেই অনুব্রত বিভিন্ন ব্যক্তিকে নানা নির্দেশ দেন বলে দাবি বিজেপির। গোরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যে সায়গলকে ২ বার তলব করেছে সিবিআই। ২ বারই হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনায় অন্য গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে।

 

বন্ধ করুন