ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রামে বাঘ ঢোকা ও বনাঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদফতর। সুন্দরবনের বনাঞ্চলজুড়ে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে তাঁরা। ঝড়ের দাপটে যাতে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প টপকে কোনও বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়তে না পারে, সেই ব্যবস্থা নিয়েছে বনদফতর। সেক্ষেত্রে বনদফতরের কুইক রেসপন্স টিম সেখানে ছুটে গিয়ে বাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করবেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কুলতলি ও ঝড়খালির বিট অফিসে দু’টি পৃথক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তাছাড়া ইয়াসের দাপটে বনাঞ্চলের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল, তা জানতেও নজরদারি চালানো হবে। একইসঙ্গে নদী বাঁধেরও খেয়াল রাখবেন বনকর্মীরা। শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কায় জঙ্গলের বিট অফিস ও ক্যাম্প অফিসগুলিতে ১৫ দিনের খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, পানীয় জল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে গ্রামের দিকে লাগানো ফেন্সিং ভেঙে পড়লে, সেখান থেকে বন্যপ্রাণীদের গ্রামে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলের দিকে লাগানো নাইলনের ফেন্সিংগুলি আগেভাগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নদীপথে টহলদারি চালাতে বনদফতরের কুইক রেসপন্স টিমকে মজুত রাখা হয়েছে।
অন্য দিকে, নদী বাঁধের খেয়াল রাখা ও দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করতে ডিভিশনের মোট ৬টি লগিং অপারেশন টিম মজুত রাখা হয়েছে। সেই টিমে ১২ জন করে সদস্য থাকছেন।
কুলতলিতে একটি বড় বোটে কুইক রেসপন্স টিমের ১৮ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুত উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছে ভেঙে পড়া ফেন্সিং সংস্কার করবেন। বন দফতরের বোটে ঘুমপাড়ানি বন্দুক, লোহার খাঁচা ও নাইলনের মজবুত জাল তৈরি রাখা হয়েছে।
মূলত বারুইপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, রায়দিঘি, রামগঙ্গা এই এলাকাগুলোর রেঞ্জ অফিসাররাই এই টিমগুলোর নেতৃত্ব দেবেন।