দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পরিষেবা প্রাপকের সংখ্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে বিভ্রান্তি। সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য মেলালে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যত সংখ্যক মানুষকে দুয়ারে সরকার পরিষেবা দেওয়া হয়েছে দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদ জেলার মোট জনসংখ্যাই তার থেকে কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি ওয়েবসাইটে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৪,৩৯২টি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে এসেছিলেন ৮৪ হাজার মানুষ। তার মধ্যে ৭৩ লক্ষ ১৮ হাজার মানুষ আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৬৩ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
ওদিকে সরকারি ওয়েবসাইট বলছে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ৭১ লক্ষ ০২ হাজার। মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রতি ১০ বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২১ শতাংশ। সেই হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে ধরলে ২০২১ সালে জেলার জনসংখ্যা হওয়া উচিত প্রায় ৮৫ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুসারে এই ৮৫ লক্ষের মধ্যে ৭৩ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করেছেন। যা জেলার মোট আনুমানিক জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশ!
জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে রাস্তা, ঘর, ভাতাসহ অন্যান্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জেলায় জেলায় তৃণমূলের দিদির দূত কর্মসূচিতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও নেতারা বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন কেন?