টিকাকরণে গতি আনতে সম্প্রতি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য সচিব সৌমিত্র মোহন একটি নির্দেশিকাও জারি করেছিলেন। তাতে সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বাড়ি–বাড়ি যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য এবং আশা কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশ মতই এবার রাজ্যে শুরু হয়ে গেল 'দুয়ারে ভ্যাকসিন' কর্মসূচি।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুয়ারে টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেন পুরপ্রশাসক গৌতম দেব। অনেকেই আছেন যাঁরা বার্ধক্যজনিত কারণে বা বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিতে পারেননি। তাছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বেও অনেক তরুণ-তরুণী এখনও পর্যন্ত টিকা নিতে পারেননি। তাঁদের জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে গৌতম দেব জানিয়েছেন।
পুরসভার প্রশাসক জানিয়েছেন, এলাকায় প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ এখনও অনেক বাকি রয়েছে। তাই তাদের উদ্দেশ্য হল, দ্বিতীয় ডোজ এর লক্ষ্য পূরণ করা। সেই কারণেই এই বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। কারা এখনও টিকা নেয়নি সেই তালিকা তৈরি করার পর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে টিকা। গৌতম দেব বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ টিকাকরণ নিশ্চিত করা। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।'
অন্যদিকে, বর্তমানে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে করোনা সংক্রমণ। যে কারণে জেলার সেফহোম এবং কোভিড হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। জেলাপিছু একটি বা দুটি কোভিড হাসপাতাল চালু রাখলেই চলবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এদিকে দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচির ফলে টিকাকরণে গতি বাড়বে বলে মনে করছে পুরসভা।